তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ ঘটনায় আগামীকালের মধ্যে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওমরাহ পালন করতে স্বামীর সঙ্গে বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন মাহিয়া মাহি। অবশেষে চিত্রনায়ক ইমনের পর এ বিষয়ে তিনিও মুখ খুলেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার পর পবিত্র মক্কার হারাম শরিফ থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন মাহি।
লাইভে তিনি বলেন, আমি এখন পবিত্র হারাম শরিফে আছি। ওমরাহ পালন করছি। আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি। আমি সেদিনও বলেছিলাম। আমার বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রতি-উত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না। দুই বছর আগের ঘটনা। তখন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছিলাম।
ওই ভিডিও’র ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রতিত্তোরের ভাষা আমার জানা ছিল না, নম্রতা আমার পারিবারিক শিক্ষা…।’
দুই মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মাহি বলেন, ‘আমি সেদিনও খুব বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্মসম্মানবোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে তা শুধু আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। আজকেও আমি ভীষণভাবে বিব্রত। দেশবাসীর কাছে আমি কতটুকু ছোট হলাম। কিন্তু আপনারা নিজ থেকে একটু চিন্তা করে দেখবেন এই ভাষা ও ব্যবহারের কি প্রতিউত্তর আমার দেওয়া উচিত ছিল। সেদিন আসলে আমার বলার কিছু ছিলো না, তাই আমি চুপ থেকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছি।
কালো বোরকা ও কালো মাস্ক পরা মাহি আরও বলেন, এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা ছিল। আমি বরাবরের মতোই আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোনো না কোনো দিন সেই রেজাল্টটা তিনি পাবেন এবং তিনি পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ…
মাহি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লাইভে এসেছি। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে এখানে কথা বলার মতো কিছু নেই। আপনারা আমার জায়গা থেকে আমার হয়ে চিন্তা করবেন, যে আসলে আমি দোষী কি-না…. আমি এতোটুকুই বলব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।