মৃত মো. আলম মিয়া দাউদকান্দি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পিয়ন (এমএলএসএস) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি হোমনা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আক্তার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, অ্যালকোহল বা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ার পর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হোমনা বদলহাজি বাড়ির মৃত তোতা মিয়ার মেয়ে রেহানা বেগমের (২৬) স্বামী বিদেশ থাকার কারণে তিনি হোমনা চৌরাস্তায় মো. আফাজ উদ্দিনের ৫ তলা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। পিয়ন আলম মিয়া প্রায়ই ওই বাসায় যাতায়াত করতেন।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে রেহেনা বেগমের বাসায় আলম মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় রেহেনা বেগম, মো. রফিকুল ইসলাম নাম একজনের সহযোগিতায় আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে রেহানা বেগম ভুল ঠিকানা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে তার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে রেহেনা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আলমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আলম আমার বন্ধু, তার সঙ্গে ৮টার দিকে দাওয়াতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত আমি যেতে পারিনি। রাত সোয়া ৩টার দিকে আলমের মোবাইল ফোন থেকে রেহেনা বেগম আমাকে জানান, আলম অসুস্থ। পরে আমি গিয়ে রেহেনার বাসা থেকে আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাহিদা সিকদার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ার পরে ফলে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন , নিহত আলমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে রেহেনা বেগমকে খুঁজছি। তাকে পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।