মোঃ রেজাউল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বর্তমান সরকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ ও রাইজার স্থানান্তর নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও থেমে নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ। সংযোগ বন্ধ রাখার কারণে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ গ্রাহকদেরকে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে মোট টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থায় আবার সংযোগ প্রদানের মহোৎসব চলছে। আবার বৈধ সংযোগকারীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার নাটক চলছে। এ যেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের তেলেসমাতি কান্ড।
প্রথম অবস্থায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীরা কোন মামলা না হওয়ায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করতেন। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের লোকজন অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গেলেও পুনরায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থাপন করতেন। গত বছর অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের পক্ষ থেকে যখন মামলা দেয়া শুরু করে তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া ও ব্যবহারকারীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার কমিয়ে দেন। এমনকি কোন অসাধু চক্র নতুন করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিতে যেতেন না।
কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানে দেখা যাচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ব্যবহারকারীর নাম ঠিকানা লিখে নিলেও অনেকের নামে মামলা হচ্ছে। আবার যারা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না। কোন কোন ক্ষেত্রে বাখরাবাদ গ্যাসের লোকজন চলে যাবার সাথে সাথে পুনরায় সংযোগও পেয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
গত ১৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুলবাড়িয়া এলাকায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের লোকজন বকেয়া বিল আদায়ের জন্য অভিযানে গেলে একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নাম ঠিকানা নিয়ে চলে যাওয়ার ২ ঘন্টা পরে পুনরায় গ্যাস সংযোগ স্থাপন হয়ে যায়।
এর আগে ৭.৩.২০২১ ইং বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনে শাহানা বেগম নামে এক মহিলা অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও বাখরাবাদের লোকজন কোন ভূমিকা না নিয়ে উল্টো অভিযোগকারী শাহানা অবৈধ গ্যাস সংযোগকারী সিন্ডিকেটের হাতে লাঞ্ছিত হন।
লাঞ্ছিনার বিষয়টি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের ডিজিএমকে দৈনিক স্বাধীন বাংলা এ প্রতিনিধি হোয়াটসঅ্যাপে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি।
বিভিন্ন অভিযানের নামে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারী ও ব্যবহারকারীদের নাম ঠিকানা নিয়ে মামলা দেবে বলে হুমকি দিলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। যারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নিতে পারছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না। আর যারা টাকা দিতে পারছে না বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বাখরাবাদ ডিস্ট্রিবিউশনের ডিজিএমকে ফোন দিলে তিনি দৈনিক স্বাধীন বাংলার প্রতিবেদককে অফিসে যাবার কথা বলে লাইন কেটে দেন।
অভিযোগ উঠেছে, বাখারাবাদ গ্যাসের বৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী এক ব্যক্তির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুনরায় সংযোগের জন্য ৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়েও সংযোগ প্রদান করা হয়নি। বিস্তারিত আসছে…