সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমির মা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থানার নারী সদস্যসহ কয়েকজন পুলিশ তার বাড়িতে যায়। এ সময় তারা মৌসুমির নামে মাদক মামলা আছে উল্লেখ করে থানায় যেতে বলে। এ নিয়ে মৌসুমির সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে মৌসুমি রাগ করে ঘরে থাকা বিষপান করে ফেলে। বর্তমানে আমার মেয়ে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ সময় সাহানা বেগম আরও বলেন, এখন লোকমুখে জানতে পেরেছি পুলিশ মৌসুমির বিরুদ্ধে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধারপূর্বক থানায় মামলা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মৌসুমিকে আসামি করে মামলা করেছে। যদিও এক সময় সে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল; কিন্তু এখন আমার মেয়ে মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। বর্তমানে সে অসুস্থ।
সাহানা বেগমের দাবি, ওই মামলা থেকে তার মেয়ে মৌসুমিকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
মৌসুমি নূরপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আমিন মিয়ার স্ত্রী।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তবে এ মামলার তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে মামলা থেকে খালাস পেতে কোনো বাধা থাকবে না।
এ সময় মৌসুমির মা ছাড়াও দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আখাউড়া থানা পুলিশের একটি টহল দল সোমবার বিকালে পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির সবজি ক্ষেত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। ওই গাঁজা মৌসুমির বলে পুলিশ জানতে পারে।
গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে আখাউড়া থানার মহিলা পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন পুলিশ মৌসুমির বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার ঘরে তল্লাশি চালায় পুলিশ এবং মৌসুমির নামে মাদক মামলা আছে উল্লেখ করে থানায় যেতে বলে। এ নিয়ে মৌসুমির সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতার এড়াতে পুলিশের সামনেই বিষপান করে মৌসুমি।