বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবরের সুনিবিড় এলাকার জাহাঙ্গীর আলম রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বামীর লেখা একটি ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ।
তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মুদ্রকারী গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী ঘরে আড়াই বছরের সন্তান রেখে তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি পাগলের মতো এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। ছোট বাচ্চাটি দিনরাত কাঁদত। গতকাল তার স্ত্রী বড় ভাই এসে তার কাছে বাচ্চাটি দিয়ে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
বেলাল পাশেই একটা গার্মেন্টসে কাজ করতেন। আজকে কাজে না যাওয়ায় কয়েকজন ডাকতে এসে কোনো শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে দেখে ওপরে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বৌয়ের বড় ভাই হাসান বলেন, গত ১৫ দিন আগে আমাকে বেলাল ফোন করে বলেছিল- আমার বোন আমাদের বাড়িতে আসছে কিনা? কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আমি আমার আত্মীয়স্বজন যারা আছে সবার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করলাম। কারো বাসায় সে যায় নাই। তখন কয়েকদিন পর বেলাল ফোন করে বলল- আমার বোন একটা ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। সে এটা ফেসবুকে দেখেছে। তখন আমার বোন আর পালিয়ে যাওয়া ছেলের ছবি আমার ইমোতে পাঠিয়েছে।
গতকাল আমি ঢাকা যাওয়ার পর আমাকে বলল- তার ছোট বাচ্চাকে এতিমখানায় দিয়ে দিবে। তখন আমি বলি আমার কাছে থেকে সে বড়ো হবে। বড় হলে আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়ে আইসেন। এই বলে আমি গ্রামে আসার সময় গতকাল বাচ্চাটিকে আমার সঙ্গে নিয়ে বসি। আজকে শুনলাম সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে।
আদাবর থানার ওসি শাকের মো. জুবায়ের জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে তার হাতে লেখা একটি ডায়েরি উদ্ধার করি। ডায়েরি দেখে মনে হলো তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কোনো কলহ চলছে। সেই ঘটনা থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।