রোববার দিবাগত রাতে আখাউড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় দুই সন্তান নিয়ে প্রায় চার বছর ধরে তিনি আজমপুর পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছেন। তার বাবা অসচ্ছল হওয়ায় পাশের বাড়িতে বুয়ার কাজ করতেন।
একপর্যায়ে রায়হানের কু-নজরে পড়েন ওই নারী। ওই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রায়হান। তাতে ওই নারী রাজি না হলে রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে তার শিশুসন্তান হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে ভয় দেখান।
ওই নারী বলেন, পরে কৌশলে আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রায়হান। পরে রোববার দুপুরে আজমপুর গ্রামের লোকমান মিয়ার বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে গোপনে ধারণ করেন রায়হান।
ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন তিনি। এ সময় তাদের দুজনের মধ্যে ভিডিও মুছে ফেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে ধর্ষক রায়হান দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় বিকালে তিনি বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি মামলা করেন। আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত বখাটে রায়হানকে রোববার রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।