মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তও হতে পারে।
আজ শুক্রবার দুপুরে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা শেষ করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন একটা সংশোধনী হয়েছে। ব্যালট পেপারের যে অংশটা ভোটারকে দেওয়া হবে, সেটাতে আগে শুধু একটা অফিসিয়াল সীল দিতে হতো। এবার ব্যালট পেপারের উল্টো দিকে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর থাকতে হবে৷ এটা ছাড়া যদি কেউ জোর করে ভোট দেয়, সেই ভোট গণনা হবে না। এটা অবৈধ ভোট হিসেবে বিবেচিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী যৌথভাবে টহল শুরু করবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সমগ্র নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেড়াবে। যেখানে সহায়তা দরকার সেখানে সহায়তা দেবে তারা।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে অথবা কারো দ্বারা যদি নিরপেক্ষহীনতার প্রশ্ন দেখা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ডও হতে পারে,’ বলেন তিনি।
প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রার্থীদের পক্ষে মোটরসাইকেলের মহড়া দেওয়া যাবে না। কেউ মহড়া দিলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ইনক্যুয়ারি কমিটি ব্যবস্থা নেবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহসহ আরও অনেকে।