নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের আরেফিন খান (৩১) নামে এক যুবক ৪ মাস আগে সৌদি আরবে খুন হয়েছিলেন।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে তার লাশ সরাইলে দেশের বাড়িতে এসেছে।
জানা যায়, ধারদেনা করে চার বছর আগে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন আরেফিন।
সৌদিআরবের আল-রাফা এলাকায় আরেফিন রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন। ভালোই কাটছিল আরেফিনের জীবন। কিছুটা স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছিল কৃষক পিতার সংসারে। গত সেপ্টেম্বরে দেশে আসার কথা ছিল আরেফিনের। কিন্তু দালাল চক্র ইতালি পাঠানোর কথা বলে ইরাক সীমান্তের পাশে এ বছরের ২ জুন তাকে খুন করে।
মৃত্যুর চার মাস পর বুধবার সকালে আরেফিনের লাশ সরাইলে এসেছে। এরপর দুপুরে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আরেফিনের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
আরেফিন উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের শাহজাদাপুর গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে আরেফিন ছিলেন সবার বড়।
আরেফিনের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার ছোট ভাই আশিক খান (২৬) বাদী হয়ে সরাইল থানায় আটজনের বিরুদ্ধে একটি মানবপাচার আইনে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই আশিক খান বাদী হয়ে সরাইল থানায় আটজনের বিরুদ্ধে একটি মানবপাচার মামলা করেছেন। আমরা আসামি ধরতে অভিযার চালাচ্ছি।