‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার-ডিজিটাল গ্রন্থাগার’এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২২। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেন এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট অ ল), বাচিকশিল্পী ও সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গনি সজীব। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান সাইফুল ইসলাম লিমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর সভাপতি, কবি ও কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন। আলোচনা অনুষ্ঠান স ালনা করেন কবি ও সংস্কৃতিকর্মী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোকর্ণ ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, রম্য লেখক পরিমল ভৌমিক, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু জামাল, উদিচি জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ ভুইয়া, জেলা পাবলিক লাইব্রেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল আলম বাবু, ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক কবি এম এ হানিফ, কবি ও গবেষক এসএম শাহানুর, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর লাইব্রেরী কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমন্বয় পরিষদের বিভাগীয় সমন্বয়ক শিব চরণ বিশ্বাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধক্ষ্য রতন লাল দে প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। বই মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবতাবোধ জাগিয়ে তোলে। আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌলিক বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে পারলে আমাদের প্রজন্ম কখনো অন্ধকার পথে পরিচালিত হবে না। তিনি পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করেও বই পড়ার গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্যোগে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করে শিশু ও তরুণদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বাবা-মাসহ সমাজের সচেতন মানুষদের আহবান জানান।
বক্তব্যে তিনি গত বছর হেফাজতের তাÐবে এই গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, যে অন্ধকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাস করেছিল সেই অন্ধকার থেকে মানুষকে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আলোকিত করে তুলতে পারে একমাত্র বই। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করে গড়ে তোলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ঘোষণা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এসকল উদ্যোগের সুযোগ গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভা শেষে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন, রচনা ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি