শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকায় নিখোঁজের ৪ দিন পর পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে কেরোসিনের গন্ধ থেকে জহির উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ কৃষকের লাশের সন্ধান পান স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকোচা পাহাড়ি টিলার নিচে মাটিচাপা দেয়া কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কৃষক জহির উদ্দিন (৭২) শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকা খারামোরা গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে। গত রোববার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় ধানক্ষেত পাহারা দেয়ার জন্যে বাড়ি থেকে বের হন জহির উদ্দিন। পরদিন তিনি আর ফিরে আসেননি। এ জন্য তার স্বজনরা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
পরে গত বৃহস্পতিবার বিকালে নিহতের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পূর্বে ঝিনাইগাতীর তাওয়াকোচার ঘোচা নামক স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয় তাকে। একপর্যায়ে জঙ্গলের এক জায়গায় কেরোসিনের গন্ধ পান নিহতের ছেলে জাকির হোসেন। পরে তিনি সেই গন্ধের উৎসের দিকে এগোতে থাকেন। একটি পাহাড়ি টিলার নিচ থেকে আসছিল গন্ধটা। আর সেখানেই মাটিচাপা অবস্থায় বাবার লাশের সন্ধান পান ছেলে।
বিষয়টি শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানার পুলিশকে অবগত করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উভয় থানার পুলিশ। পরে লাশের সুরতহাল সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের ছোট ভাই মোহসীন আলী ও ছেলে জাকির হোসেনসহ স্বজনদের দাবি, চোরাকারবারিরা বা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেউ তাকে হত্যা করে সেখানে মাটিচাপা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, এ নিয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্যে শুক্রবার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়ে। তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এদিকে রহস্যজনক এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। কেন তাকে হত্যা করা হলো তা কারো বোধগম্য নয়।