আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজঘরে বাড়ির বাউন্ডারি ভাঙচুর ও লুটপাট-মারধরের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মামলার বাদি মো. কাজল মিয়া প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জয়নাল মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে এই মামলা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আসামীরা হলেন, জয়নাল মিয়া (৬০), রিফাত মিয়া (২৬), মাহবুব শরীফ (৪০), লিটন মিয়া (৪২), ফাহিম মিয়া (২০), আশরাফুল (৩০), সাইফুল মিয়া (২৫), আদিব মিয়া (১৯), নাহিদা বেগম (৩৫), সুমি বেগম (৩৫), রাইহান (৩৩), রুনি বেগম (৩৮), খাদিজা বেগম (৩৫)।
মামলার বাদী জানান কাজল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ৯ শতাংশ বিটেবাড়ির জায়গা নিয়ে কাজল মিয়া তার আপন ছোটভাই রায়হান ও কাউসারের সাথে দ্বন্দ চলছে। গত ১৬ জানুয়ারি রাস্তার জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাহবুব শরীফকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে একটি মামলা করার পর পুলিশ আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নিলে আসামীরা রাগান্বিত হয়ে আমার বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙে ফেলেন এবং বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর-লুটপাট ও দুজনকে মারধর করেন। তারা দুজনই হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আমাকে আবার মারার হুমকিধামকি দিলে নিজের আত্মরক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জয়নাল মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে এই মামলা করি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি আওয়ামী লীগের নেতা বা অর্থদাতা না। আমি পুলিশের সহযোগী চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জায়গায় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছে। একটি মামলা হাতে পেয়েছি। মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্তের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিবো।