প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আসামী ধরেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া ব্যাটারিচালিত দু’টি অটোরিকশা। পাশাপাশি চোরাই চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ, যে চক্রটি চালকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা পুলিশ এ সফল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার চারজনকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুরের অহিদ হোসেনের ছেলে মাসুক মিয়া (৩৫), কেনা গ্রামের আবু লাল মোল্লার ছেলে কাশেম মোল্লা (৩১), একই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে মো. শরীফ (২৪), বুধন্তীর শিশু মিয়ার ছেলে মো. এরশাদ মিয়া (৪৩)। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আখাউড়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বিজয়নগর উপজেলার কচুয়ামোড়া গ্রামের ছালেকুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সম্প্রতি আখাউড়ার খড়মপুর এলাকা থেকে চুরি হয়। ছালেকুজ্জামানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে যায় ওই চক্র। এ ঘটনায় আখাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ছালেকুজ্জামান। ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এস.আই মো. মঈন উদ্দিন। তদন্ত কার্যক্রমের স্বার্থে আসামী শরীফের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন এক নারী পুলিশ সদস্য। সোমবার তাকে খড়মপুর এলাকায় আসতে বলা হয়। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার, এস.আই মাঈন উদ্দিনসহ অন্যান্যরা অভিযান চালান। এ সময় কৌশলে শরীফ ও তার সাথে থাকা এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে আরো দু’জনকে গ্রেপ্তার ও দু’টি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার জানান, মূলতই শরীফ নামে ব্যক্তিই ওই চালককে ফোন করে ভাড়ার কথা বলে নিয়ে যায়। যে কারণে তার মোবাইল ফোন নম্বর চালকের কাছ থেকে পাওয়া যায়। এরপর কৌশল অবলম্বন করে অভিযান চালানো হয়।