নিউজ ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে দুইশতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সংগঠনটির সদস্য আশিকুল ইসলাম আশিকের স্মরণে এ আয়োজন করা হয়।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন।
খাদ্যসামগ্রীতে ছিল— সাদা চাল, পোলাও চাল, সয়াবিন তেল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, আটা, লবন, সেমাই, চিনি, নুডলস, দুধ ও কিসমিস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আল-আমিন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, জাহাঙ্গীর সানলাইফ হসপিটাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠিকাদার সুজন আহমেদ, হাজী মোহাম্মদ আলী, নুরুল ইসলাম মুন্সি, সাংবাদিক মেহেদী নুর পরশ, আরেফিন হোসেন হৃদয় ও আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু হামেদ বাবু, ব্রা:মে:ক এর সহকারী অধ্যাপক ডা. রনজিত বিশ্বাস, ড্রিম ফর ডিস অ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত আজিজ মুন্না, ডেইলি মেইলের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইফতেখার রিফাত, ঢাকা পোষ্টের প্রতিনিধি বাহাদুর আলম, তেপান্তরে সম্পাদক সীমান্ত খোকন ও কালবেলার প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বেওয়ারিশ লাশ দাফন কাজের কবরস্থানটির পুনঃসংস্কার কাজ হাতে নিয়েছি। অতি শীঘ্রই কবরস্থানে মাটি ফেলাসহ সীমানা প্রাচীর করে দেওয়া হবে। এখানে সুন্দর ভাবে লাশ দাফন কাজ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, বাতিঘরের সদস্যরা যে কাজটি করে যাচ্ছে সত্যি প্রংশনীয়। আগামীদিনে এই সংগঠনের সফলতা কামনা করছি।