প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন রাবেয়া ইসলাম শাওড়ার শ্বশুর হওয়ার সুবাদে এমন অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ জুন রাবেয়া ইসলাম এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদান করেন। তার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক শ্বশুর হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত টানা সাত মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটান রাবেয়া ইসলাম। অথচ তিনি ২০২১ সালের সেপ্টম্বরে সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হলেও ওই বছর একদিনও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। আবার মাতৃত্বকালীন ছুটির ভেতরে মার্চ মাসে শুধু ১৩ দিন বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা সাত মাসের মধ্যে মাত্র একদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। একই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটান রাবেয়া। সব মিলিয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। বিদ্যালয়ের হাজিরা রেজিস্ট্রার অনুসন্ধান করে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, রাবেয়া ইসলামের এ অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে অনেকেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
তাদের মতে, প্রধান শিক্ষক রাবেয়ার শ্বশুর হওয়ায় তার স্বেচ্ছাচারিতা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে হওয়ার কারণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত।
এ বিষয়ে রাবেয়া ইসলাম শাওড়া বলেন, অসুস্থ থাকায় ছুটিতে ছিলাম। তবে ২০২২ সালে অন্তঃসত্ত্বা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন, রাবেয়া মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিল।
অন্তঃসত্ত্বা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। আমি বাইরে আছি। অফিসে গিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারব।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।