জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে শীর্ষ মাদককারবারী খোকনের নেতৃত্বে বাড়িঘর কুপিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা মধ্যরাস্তা এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে এই হামলা হয়। হামলায় আহতরা হলেন বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খোরশেদা বেগম এবং নুরুল ইসলামের মেয়ে আকলিমা বেগম ও তার ছেলে কাইয়ুম মিয়া।এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের আরেক ছেলে হাসান মিয়া।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ঘাটুরা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আবরু মিয়ার দুই ছেলে খোকন মিয়া ও বাবুইন্না মিয়া এবং তার মেয়ে আবনী বেগম এলাকার চিহ্নিত কুখ্যাত মাদক কারবারী।কিছুদিন আগে রমজান মাসে মাদক কারবারী খোকনের স্ত্রীকে ৪০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আটক করে হাজতে পাঠায়। এই ঘটনার পর মাদক কারবারী খোকন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল কে সন্দেহ করে তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করে। তারা অনেক দাপটশালী হওয়ায় এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা বিক্রি করে ফুলেফেঁপে উঠেছে। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলেনা। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে, পুলিশের মাধ্যমে ইয়াবা বড়ি সহ বিভিন্ন মাদক দিয়ে জোর করে চালান দিয়ে দেয়।
এবিষয়ে অভিযোগকারী হাসান মিয়া বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে তারা আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনদেরকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। গত বুধবার বিকেল চারটার সময় আমার বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে আমার বসত ঘরের টিন খুলে ঘরে প্রবেশ করে আমার ভাই কাইয়ুমকে মারধর আরম্ভ করে।আমার ভাই এর চিৎকারে আমার মা ও বোন এগিয়ে আসলে তাদের টানা হেছড়া করে এলোপাথারীভাবে মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।’
এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তশেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগের তদন্তকারী সদর মডেল থানার এসআই শহীদুল আলম বলেন, ‘রুবেলের ভাই কাইয়ুম বলেছে তাদের সাথে খোকনের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। রুবেলের সাথে খোকনের দ্বন্দ্ব ছিল আগে থেকে। এক ভাইয়ের প্রভাব আরেক ভাইয়ের উপর পড়েছে।
খোকনের পুরো ফ্যামিলি মাদক ব্যবসা করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার লিস্ট আমাদের কাছে আছে এবং পর্যায়ক্রমে আমরা মাদকদ্রব্য দমন করছি। খোকনের সাথে আরও কিছু লোক ছিল।হাসানের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে এগুলো দেখে আসছি। মাদক বেচাকেনা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত।